মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন

27th February 2020 হুগলী
মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন


মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কি ভাবে চলছে তা জানতে প্রশাসনের সাথে বৈঠক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের।বহু দিন ধরে জেলার মানু্ষের দাবি ছিল প্রায় ৩০০ বছরের অধিক   হুগলীর শ্রীরামপুর মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষনা করুক রাজ্য সরকার।
সেই দাবি মেনে নিয়ে রাজ্য সরকার ২০১৭ সালে ঐতিহাসিক এই মন্দির হেরিটেজর আওতায় আনে ।
এরই সাথে জগন্নাথ মন্দির সহ জগন্নাথ ঘাট নাট মন্দিরে নিয়ে মোট চারটি স্থানকে নতুন রুপ এবং জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন জি টি রোডের ওপর একটি তোরন করা হবে বলে ঘোষনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই মতো  কাজও শুরু  করে পর্যটন দপ্তর।মুখ্যমন্ত্রী দফায় দফায় এর জন্য টাকাও দেন।
কিন্তু দেখা যায় বেশ কিছু  দিন দ্রুত গতিতে কাজ চলার পর কোনো এক অজানা কারনে কাজের গতিতে ছেদ পরে।এর জন্য সমাচলোনার মুখে পরতে হয়েছে প্রশাশনকে।ফের কাজ চললেও রথের অাগে শেষ এই কাজ শেষ করার উদ্যেশ্যে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী ও বিভিন্ন পৌর প্রতিনিধি দের সাথে বৈঠক করলেন মন্ত্রী ইন্দ্রাণীল সেন।তিনি জানান টার্গেট দিয়ে অাগামী রথের অাগেই
এই কাজ যাতে সম্পুর্ন হয় তার জন্য এই বৈঠক।
অাশা করি এবারে রথের অাগেই সব কাজ সম্পুর্ন হয়ে যাবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।